জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় | অনার্স প্রথম বর্ষ | বাংলা উপন্যাস-১ | পর্ব -১

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় | অনার্স প্রথম বর্ষ | বাংলা উপন্যাস-১ | পর্ব -১

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্সে যারা বাংলা বিভাগে অধ্যায়ন করছেন তাদের জন্য আমাদের এই ব্লগ সিরিজটি করা, যাতে খুব সহজে যে কেউ যেকোনো জায়গা থেকে বই পড়তে পারে। আমরা আশা করছি আপনারা নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন। বিভিন্ন সাজেশন বিশ্লেষণের মাধ্যমে চুড়ান্ত প্রশ্ন ব্যাংক এর সমন্বয় করে ব্লগ সিরিজটি সাজিয়েছি। তাছাড়া এমন অনেকেই আছে যারা নিয়মিত ক্লাস করতে পারেনা। পরীক্ষার সময় হতাশ হয়ে পড়ে। তাদের জন্য আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াসটি সার্থক হতে পারে। তবে ভালো ফলাফলের জন্য অবশ্যই বেশি বেশি পড়তে হবে। এর জন্য সিলেবাস অনুযায়ী অন্যান্য সহায়ক গ্রন্থ গুলো সংগ্রহ করে পড়তে পারেন।



পোষ্ট সম্পর্কিত যেকোনো মতামত আমাদেরকে জানাতে Contact us পেইজটি ফলো করুন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরত্বপূর্ণ আপডেট নিয়মিত পেতে আমাদের সাইটটি ভিজিট করুন।

আলোচিত পাঠ:
বাংলা উপন্যাস-১
Bangla Uponnas-1



উত্তর: কপালকুণ্ডলা উপন্যাসের নায়িকা চরিত্র। সে ব্রাহ্মণ কন্যা। 
বঙ্কিমচন্দ্রের জীবদ্দশা উল্লেখ কর। 
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্রের জীবদ্দশা (১৮৩৮-১৮৯৪ খ্রিঃ)।
কপালকুণ্ডলা কার লেখা?
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চটোপাধ্যায়। 
বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম উপন্যাস কোনটি? 
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম উপন্যাস দুর্গেশনন্দিনী। 
কপালকুণ্ডলা কোন জাতীয় উপন্যাস। 
উত্তর: রোম্যান্স ধর্মী উপন্যাস। 
কপালকুণ্ডলা' উপন্যাসে বর্ণিত ঘটনা কতদিন পূর্বের অথবা, কপালকুণ্ডলা' উপন্যাসে বর্ণিত ঘটনা কোন সময়ের?
উত্তর : ২৫০ বছর পূর্বের।
কপালকুলা’ বঙ্কিমচন্দ্রের কততম উপন্যাস? 
উত্তর : ২য় উপন্যাস। 
বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয় কাকে? 
উত্তর : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। 
কপালকুণ্ডলা' উপন্যাসটি কত সালে প্রকাশিত হয়? 
উত্তর : ১৮৬৬ সালে। 
কপালকুণ্ডলা' শব্দের অর্থ কী? 
উত্তর : প্যাঁচানাে ভাগ্য বিড়ম্বিত। অর্থাৎ বাহ্যিক অর্থ বাঁকা কপাল, অন্তর্নিহিত অর্থ মন্দভাগ্য ।
কপালকুণ্ডলা' উপন্যাসের কয়টি খণ্ড? 
উত্তর : চারটি খণ্ড। 
কপালকুণ্ডলা' উপন্যাসের প্রথম খণ্ডের প্রথম পরিচ্ছদের শিরােনাম কী? অথবা, কপালকুণ্ডলা' উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছেদটির নাম কী? 
উত্তর : সাগর সঙ্গমে। 
প্রথম গঞ্জের পঞ্চম পরিচ্ছেদের শিরােনাম কী? 
উত্তর : সমুদ্রতটে। 
প্ৰথম খণ্ডের সপ্তম পরিচ্ছেদের শিরােনাম কী? 
উত্তর : অনেষণে।
প্রথম খণ্ডের অষ্টম পরিচ্ছেদের শিরােনাম কী? 
উত্তর : আশ্রয়ে।
দ্বিতীয় খণ্ডের, প্রথম পরিচ্ছেদের শিরােনাম কী? 
উত্তর : রাজপথে। 
দ্বিতীয় খরে তৃতীয় পরিচ্ছেদের শিরােনাম কী? 
উত্তর : সুন্দরী সন্দর্শনে। 
কপালকুণ্ডলা' উপন্যাসের প্রথম খণ্ডের শেষ পরিচ্ছেদ এর নাম কী? 
উত্তর : প্রেতভূমে। 
কপালকুণ্ডলার প্রথম সংলাপ কি ছিল? 
উত্তর : পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ। 
কপালকুণ্ডলার পরিণতি কি হয়েছিল? 
উত্তর : নদীর তীর ভেঙে যাওয়ায় কপালকুন্ডলা নদীর করাল স্রোতে বিলিন হয়ে যায়।
কপালকুলার ননদের নাম কি? 
উত্তর : শ্যামা সুন্দরী। 
বালুকাস্তূপ শ্রেণিতে কী ধরনের বৃক্ষ জন্মায়? 
উত্তর : অধোভাগমঙ্গমকারী বৃক্ষাদির মধ্যে ঝাঢ়ী, বনঝাউ এবং বনপুষ্পই অধিক। কপালকুণ্ডলা উপন্যাসের কয়েকটি প্রধান চরিত্রের নাম লিখ। 
উত্তর : নবকুমার, কপালকুণ্ডলা, কাপালিক, অধিকারী, শ্যামা, পদ্মাবতী, ইত্যাদি। কপালকুণ্ডলাকে বলা কাপালিকের কথা নবকুমারের কাছে কেমন ঠেকিল? 
উত্তর : মেঘগর্জনবৎ ধ্বনির মতো। 
কপালকুণ্ডলা নবকুমারকে কী বলিল? 
উত্তর : “আজি এইখানে লুকাইয়া থাক, কালি প্রত্যুসে তােমাকে মেদিনীপুরের পথে রাখিয়া আসিব।” 
কপালকুণ্ডলা ঔষধ আনিতে গেলে নবকুমারের প্রশ্নে কী বলিল। 
উত্তর : “আইস, আমি অবিশ্বাসিনী কী না, স্বচক্ষে দেখিয়া যাও।" 
কপালকুণ্ডলা উপন্যাসে নবকুমারের কয়টি বােন ছিল? 
উত্তর : দুই বােন ছিল। 
কপালকুণ্ডলা নামটি বিকট বলে স্বামীগৃহের লােকেরা কপালকুণ্ডলাকে কী নামে ডাকত? 
উত্তর : মৃন্ময়ী। 
যদি তােমার মত কলি হইতাম, তবে ফুটিয়া সুখ হইত।- কে, কাকে এ কথা বলেছিল? 
উত্তর : কপালকুণ্ডলাকে তার ননদী শ্যামা একথা বলেছিল। 
তােমার সুখ কী?-শ্যামার এ প্রশ্নের জবাবে কপালকুণ্ডলা কী বলেছিল? 
উত্তর : সমুদ্রতীরে সেই বনে বনে বেড়াতে পারলেই কপালকুণ্ডলা সুখ পায়, সংসার জীবনে নয় ।
“যদি জানিতাম যে, স্ত্রীলােকের বিবাহ দাসীত্ব, তবে কদাপি বিবাহ করতাম না।”-কেন কপালকুণ্ডলা একথা বলেছে? 
উত্তর : ননদ শ্যামার উপকারার্থে রাতে একাকী বনে গিয়ে গাছ তুলে আনলে স্বামী অসুখী হবে শুনে বৈবাহিক জীবনের পরাধীনতা নিয়ে কপালকুণ্ডলা একথা বলেছে। 
“আইস, আমি অবিশ্বাসী কী না, স্বচক্ষে দেখিয়া যাও।”- কে কপালকুণ্ডলাকে একথা বলেছিল? 
উত্তর : ননদ শ্যামার স্বামী বশকারী ওষুধ তুলতে কপালকুণ্ডলা রাতে এ গভীর বনে যেতে চাইলে নবকুমার তার সাথে যেতে চাওয়ায় কপালকুণ্ডলা এ কথা বলেছে। 
“অমনি গৃহের প্রদীপ নিবিয়া গেল।”- কোন সময়ের প্রদীপ নেভার কথা বলা হয়েছে? 
উত্তর : ব্রাহ্মণবেশী যুবকের পত্র অনুসারে রাতে তার সাথে দেখা করতে কপালকুণ্ডলা যাত্রা করামাত্র যে গৃহের প্রদীপ নিভে গেল সে কথাই এখানে বলা হয়েছে। 
‘পত্রটি পড়িয়া গেল”।-কেন?
উত্তর : নবকুমার ও কপালকুণ্ডলার বিবাহ শুভ নয় বলে। 
ভিক্ষুক দৌড়িল কেন?
উত্তর : স্বর্ণ অলঙ্কার হাত ছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় ।
কপালকুণ্ডলাকে লেখা চিঠি দেখে নবকুমার কী সিদ্ধান্ত নেয়? 
উত্তর : কপালকুণ্ডলাকে অনুসরণ করে তার মহাপাপ প্রত্যক্ষ করে শেষে নবকুমার তার এ জীবন বিসর্জন করবে।
কে তুমি? দূর হও আমার পথ ছাড়?” -কে কখন, কাকে একথা বলেছে?
উত্তর : কপালকুণ্ডলা ব্রাহ্মণবেশী যুবকের সাথে দেখা করবে যাত্রা করলে সস্নিগ্ধ নবকুমার তার পিছু নেয়, এমন সময় কাপালিক তার সামনে এসে দাড়ালে নবকুমার কাপালিককে পথ ছাড়তে বলে। 
“আমি বনচর ছিলাম, আবার হইব।” কপালকুণ্ডলা কাকে, কেন একথা বলেছিল? 
উত্তর : কপালকুণ্ডলা বলল শ্যামাকে।
কপালকুণ্ডলা উপন্যাসের প্রধান তিনটি নারী চরিত্রের নাম কী? অথবা, কপালকুণ্ডলা উপন্যাসের নারী চরিত্র কয়টি ও কি কি? 
উত্তর : কপালকুণ্ডলা, শ্যামা, ও পদ্মাবতী (মতিবিবি)। 
কপালকুণ্ডলা গভীর রাতে বনে গিয়েছিল কেন?
উত্তর : ওষুধি লতা আনতে । 
কোথা যাইতেছ? যাইওনা। ফিরিয়া যাও-পলায়ন কর-কথাটি কে কাকে বলেছিল? 
উত্তর : কপালকুণ্ডলা নবকুমারকে বলেছিল। 
কপালকুণ্ডলা নবকুমারকে দেখে প্রথমে কী কথা বলেছিল? 
উত্তর : পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ। 
কপালকুলা উপন্যাসে কাদের যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে? 
উত্তর : মােঘল-পাঠানদের যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে। 
কোন লগ্নে কপালকুণ্ডলার বিবাহ হয়েছিল? 
উত্তর : গােধূলি লগ্নে।






নবকুমার কে?
উত্তর : কপালকুণ্ডলা উপন্যাসের নায়ক। সপ্তগ্রামের বাসিন্দা ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান, পুরােনাম নবকুমার শর্মা।
নবকুমারের বাড়িতে কে কে ছিল?
উত্তর : নবকুমারের বাড়িতে ছিল বিধবা মাতা ও ভগ্নী শ্যামসুন্দরী। 
নবকুমার কীভাবে সমুদ্রোপকূলে বিজিত হইলেন? 
উত্তর : কাঠ সংগ্রহে গেলে সকলে ভাবল তাকে বাঘে খেয়েছে, এই বলে জোয়ারের স্রোতে নৌকা ভাসিয়ে সকলে তাকে রেখে চলে গেল।
যেখানে নবকুমারকে ত্যাগ করিয়া যাত্রীরা চলিয়া যান, তাহার অনতিদূরে কী কী গ্রাম দেখা যায়? 
উত্তর : দৌলতপুর ও দরিয়াপুর। 
নবকুমারের অবস্থা বিজনবনে কেমন হইল?
উত্তর : আশ্রয় নাই, খাদ্য নাই, লােক নাই, নদীর জল অসহ্য-লবণাক্ত, ক্ষুধা-তৃষ্ণায় তাহার হৃদয় বিদীর্ণ হইতেছিল। 
যখন ঘুম ভাঙলো তখন নবকুমার কী দেখল?
উত্তর : তাকে বাঘে হত্যা করে নি, এবং দূরে একটি আলাে দেখতে পেল। 
নবকুমার যাকে বনের মধ্যে ধ্যান করতে দেখিলেন তিনি কে? 
উত্তর : কাপালিক। 
নবকুমার খাদ্যের সন্ধানে কোথায় গিয়েছিল? 
উত্তর : বনের মধ্যে ঘুরতে ঘুরতে সমুদ্রের নিকটে চলে গিয়েছিল, সেখানের অপূর্ব সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছিল। 
নবকুমারের কর্ণে কী ৰাজিল?
 উত্তর : কপালকুণ্ডলা-এর মুখ থেকে নিসৃত উক্তি পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ?" 
নবকুমার ও কপালকুণ্ডলা কোথায় গিয়ে আশ্রয় নিল?
 উত্তর : অধিকারীর গৃহে।
নবকুমারের প্রথম স্ত্রীর নাম কি? 
উত্তর : পদ্মাবতী। 
নবকুমার কেন তার প্রথম স্ত্রীকে ত্যাগ করে? 
উত্তর : পদ্মাবতীর পরিবার ধর্মচ্যুত হলে নবকুমারের পরিবার না মেনে নেওয়ার কারণে তাকে ত্যাগ করতে হয়। 
কে নবকুমারকে ভুল বুঝাল?
উত্তর : কাপালিক নেশা করাইয়া লুৎফউন্নিসাকে পুরুষ দেখাইয়া কপালকুণ্ডলা সম্পর্কে ভুল বুঝাল। 
নবকুমারের বােন শ্যামা সধবা হয়েও বিধবা কেন? 
উত্তর : শ্যামা সুন্দরী কুলীন পত্নী। তার স্বামীর অনেক বিয়ে। ফলে শ্যামার কাছে আসতে চায় না। তাই সে সধবা হয়েও বিধবা। 
“কেবল তােমার দাসী হইতে চাহি। তােমার যে পত্নী হইব, এ গৌরব চাহি না, কেবল দাসী।”-কথাটি কে, কাকে, কখন বলেছিল? 
উত্তর :  নবকুমারের প্রথম স্ত্রী পদ্মাবতী বা লুৎফ-উন্নিসা আগ্রা ত্যাগ করে সপ্তগ্রামে এসে আবাস গড়ে। তারই বাড়িতে নবকুমারকে ডেকে এনে একথা বলেছে। 
“পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ”-উক্তিটি কে, কাকে উদ্দেশ্য করে কখন বলেছিলেন? 
উত্তর : কপালকুণ্ডলা নবকুমারকে উদ্দেশ্য করে সমুদ্রতীরে দাঁড়িয়ে বলেছিল।
নবকুমারের পুরাে নাম কী? তার গ্রামের নাম কী? 
উত্তর: নবকুমার শর্মা, গ্রামের নাম সগ্রাম। 
কপালকুলাকে নবকুমার কী নামে ডাকতো?
উত্তর: মৃন্ময়ী ।
নবকুমারের উপাধি কী?
উত্তর: শর্মা ।
নবকুমার কোন শ্রেণির ব্রাহ্মণ ছিল? 
উত্তর: রাঢ়ীয় শ্রেণির ব্রাহ্মণ।।
পত্রটি পিড়য়া গেল” কী পত্ৰ কোথা হয়ে পড়ল। 
উত্তর: নবকুমারের সাথে কপালকুণ্ডলার বিবাহ শুভ কী না তা জানতে মা কালীর পায়ে পত্র প্রদান করলে পত্রটি পড়ে যায়। পত্রটি মা কালী গ্রহণ করেন না। 
নবকুমারের শেষ পরিণতি কী হয়েছিল? 
উত্তর : কপালকুণ্ডলার সলিল সমাধি হলে নবকুমার করাল স্রোতের মধ্যে কপালকুণ্ডলাকে খুঁজে না পেয়ে নিজেও পানির স্রোতের মধ্যে হারিয়ে গেল। 
“তুমি অধম, তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?”-উক্তিটি কার? 
উত্তর : নবকুমারের। 

🔰 বাকি অংশ : এই পাঠের পরবর্তী অংশ পড়তে পর্ব-২ তে ক্লিক করুন।



Post a Comment (0)
Previous Post Next Post