জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় | অনার্স প্রথম বর্ষ | বাংলা কবিতা-১ | পর্ব -২
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্সে যারা বাংলা বিভাগে অধ্যায়ন করছেন তাদের জন্য আমাদের এই ব্লগ সিরিজটি করা, যাতে খুব সহজে যে কেউ যেকোনো জায়গা থেকে বই পড়তে পারে। আমরা আশা করছি আপনারা নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন। বিভিন্ন সাজেশন বিশ্লেষণের মাধ্যমে চুড়ান্ত প্রশ্ন ব্যাংক এর সমন্বয় করে ব্লগ সিরিজটি সাজিয়েছি। তাছাড়া এমন অনেকেই আছে যারা নিয়মিত ক্লাস করতে পারেনা। পরীক্ষার সময় হতাশ হয়ে পড়ে। তাদের জন্য আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াসটি সার্থক হতে পারে। তবে ভালো ফলাফলের জন্য অবশ্যই বেশি বেশি পড়তে হবে। এর জন্য সিলেবাস অনুযায়ী অন্যান্য সহায়ক গ্রন্থ গুলো সংগ্রহ করে পড়তে পারেন।পোষ্ট সম্পর্কিত যেকোনো মতামত আমাদেরকে জানাতে Contact us পেইজটি ফলো করুন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরত্বপূর্ণ আপডেট নিয়মিত পেতে আমাদের সাইটটি ভিজিট করুন।
আলোচিত পাঠ:
বাংলা কবিতা-১
Bangla kabita-1
কামাল পাশা কে?
উত্তর : গ্রিক তুরস্ক যুদ্ধে তুরস্কের জাতীয় সৈন্যদলের কাণ্ডারি বিশ্বত্রাস মহারাজ কামাল পাশা।
কামাল পাশা কোন দেশের অধিবাসী?
উত্তর : তুরস্কের অধিবাসী ছিলেন।
কামাল পাশা কবিতা অবলম্বনে কে ক্ষেপেছে?
উত্তর : পাগলী মায়ের দামাল ছেলে কামাল ক্ষেপেছে।
দেশ বাচাতে আপনারি জান শেষে করেছে। কোন কবিতা হতে চয়নিত?
উত্তর : অগ্নিবীণা কাব্যের কামাল পাশা কবিতা হতে চয়নিত।
নজরুল ইসলামের মতে কাদের বরাতে কেবল আঘাত আর আঘাত?
উত্তর : যারা অন্যের মুলুকে জোর প্রবেশ করে লুট করে যায়, তাদের বরাতে জোটে শুধু আঘাত।
এক মুর্গির জোর গায়ে নেই, ধরতে আসেন তুর্কি তাজী-কাদের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : গ্রিক সৈন্যদের কথা বলা হয়েছে ।
কী দেখে হাজার তরুণ শহীদ বীরের গা শিউরে ওঠে?
উওর: গ্রিক ও তুর্কি যুদ্ধে তুর্কির শহীদ সেনার ছোট লাল টুকটুকে বৌ যে স্বামীর রক্ত ছোপানো কাপড় পরে আছে-তাকে দেখে সমস্ত তরুণ শহীদদের গা শিউরে ওঠে।
আহা কচি ভাইরা আমার - কাদেরকে কারা বলেছে?
উত্তর : গ্রিক-তুর্কি যুদ্ধে গ্রিকদের পরাজিত করে তুর্কি বীরেরা বিজয়ী বেশে তাঁবুতে ফেরার সময় তাদের শহীদ সহযোদ্ধাদের লাশ বুকে পিঠে করে নিয়ে আসছে, এই শহীদ তরুণ বীরদেরকে কচি ভাই বলে সম্বোধন করা হয়েছে।
কামাল পাশা কবিতা বর্ণিত আসমানের দুটি রক্তের নীল সিয়াটা কাদের?
উত্তর : শত্রুদের অর্থাৎ গ্রিকদের।
কামাল পাশা কবিতায় আসমানের ক’টি রতের উল্লেখ আছে?
উত্তর : দুটি। যথা- (১) নীল সিয়া ও (২) গভীর লাল।
কামাল পাশা’ কবিতায় এই তো চাই । থাকলে স্বাধীন সবাই আছি, নেই তো নাই’-এ কথার অর্থ কী?
উত্তর : এ কথার অর্থ হচ্ছে- হয় সবাই মিলে স্বাধীনভাবে বাঁচবো, না হয় সবাই স্বাধীনতার জন্য জীবন দেব, পরাধীন হয়ে বাঁচা নিরর্থক।
তরুণ শহীদদের বাসর কোথায় হবে?
উত্তর : তুর্কি যুদ্ধে তরুণ শহীদদের বাসর হবে কবরের বাসর ঘরে-সেখানে তার বধূটি আঁধার শাড়ি পরবে।
তুর্কি বীর শহীদেরা কীভাবে বেশ করেছে?
উত্তর : তারা দেশের স্বাধীনতা রক্ষার্থে আত্মাহুতি দিয়েছে- এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ কাজ আর নেই, তাই তারা বেশ করেছে। বীরের মত জীবন দেওয়াই জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ।
কামাল পাশা' কবিতাটি প্রথম কোথায় প্রকাশিত হয়?
উত্তর : ১৯২১ সালে মোসলেম ভারত পত্রিকায় কামাল পাশা প্রথম প্রকাশিত হয়।
মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক কে?
উত্তর : মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক নব্য তুরস্কের জন্মদাতা (জন্ম ১৮৯১, মৃত্যু ১৯৩৮ খ্রি.)।
কামাল শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : কামাল শব্দের অর্থ পূর্ণতাপ্রাপ্ত বা নিখুঁত।
কামাল আতাতুর্ক পাশা’ উপাধিপ্রাপ্ত হন কেন?
উত্তর : অসাধারণ রণ-কুশলতার জন্য তিনি পাশা উপাধিতে ভূষিত হন।
আতাতুর্ক শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : আতাতুর্ক অর্থ তুর্কি জনতার পিতা।
কামাল পাশা কবিতায় কী প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর : কামাল পাশা কবিতাটিতে বিজয়োন্মত্ত সৈন্যদের আনন্দগীতি ও উল্লাস প্রকাশ লাভ করেছে।
গদ্যপদ্যময় সংস্কৃত নাম কী?
উত্তর : চম্পু।
কামাল পাশা কবিতাটিতে কী চম্পু বলা যায়?
উত্তর : কামাল পাশা' কবিতাটিতে চম্পু বলা যায় না এ কারণে যে, কবিতাটিতে যে উদ্দীপনা আছে তা চম্পুতে বোঝায় না। এ ধরনের কবিতা বাংলা সাহিত্যে নতুন।
আনোয়ার কবিতাটি প্রথম কোথায় প্রকাশিত হয়?
উত্তর : 'সাধনা' পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩২৮ কার্তিকে।
শৃঙ্খলিত তরুণ সেনানী স্বপ্নে কাকে দেখেছিল?
উত্তর : স্বপ্নে তার মাকে দেখেছি।
আনোয়ার কে ছিলেন?
উত্তর : আনোয়ার পাশা তুরস্কের বিপ্লববাদী নব্য তুর্কিদলের অন্যতম সামা ছিলেন।
নব্য তুর্কিদলের অধিকাংশ সদস্য কোন দেশে শিক্ষাপ্রাপ্ত?
উত্তর : ফরাসি দেশের শিক্ষাপ্রাপ্ত।
নব্য তুর্কিবাদীরা কাদের মত স্বাধীনতা প্রত্যাশী?
উত্তর : ফরাসিদের মত ।
গুপ্ত সমিতির নাম কী ছিল?
উত্তর : গুপ্ত সমিতির নাম ছিল আঞ্জুমান এত্তেহাদ ও তরক্বী। মদহত পাশা হলেন এর পৃষ্ঠপোষক এবং আনোয়ার পাশা ছিলেন কর্ণধার।
আনোয়ার কবিতার বক্তা কে?
উত্তর : বক্তা অস্ত্রগুরু আনোয়ারের সৈন্যদলের সহকারী সেনানী।
আনােয়ার কবিতার কথাবস্তুর স্বরূপ কী?
উত্তর : আনােয়ার কবিতার কথাবস্তু আত্মধিকারের গ্লানিতে ফেটে পড়েছে।
জিঞ্জির পরা মােরা খিঞ্জীর?-কাদেরকে এ কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : বক্তা মুসলমানদের বিষয়ে বলছেন যে, মুসলমানরা আজ শৃঙ্খলিত শূকরের মত । আনােয়ার কবিতার ৰক্তা ‘গর্দানে জিঞ্জর’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : বক্তা বলেছেন যে, মুসলমানেরা কোনাে কালে বেঈমান ও ভীরু ছিল না, অথচ মুসলমান আজ ভীরু হওয়ায় তারা বন্দী শৃঙ্খলিত, তাদের স্কন্ধে আজ পরাজয়ের শৃঙ্খল।
“ওরে আয়-ঐ ইসলাম ডুবে যায়।” -কবি এখানে কাদেরকে কেন ডাকছেন?
উত্তর : গ্রিসের সাথে তুর্কি সরকারের যুদ্ধে কামাল পাশাকে সাহায্য করার জন্য কবি বাঙালি মুসলমান যুবকদেরকে আহবান করেছেন এবং ইসলাম ডােবার প্রসঙ্গ এনেছেন।
কৰি ইসলামের সম্মান রক্ষা করার জন্য মুসলিম যুবকদেরকে কী বলেছেন?
উত্তর : কবি বলেছেন, জীবন যায় যাক-সম্মান যেন না যায় ।
“সেই বীর দেশে চল বীর বেশে” -কাদেরকে কবি কোথায় যেতে বলেছেন?
উত্তর : বাঙালি মুসলমান যুবকদেরকে তুর্কিতে কামাল পাশার দলে গিয়ে যুদ্ধে অংশ নিতে বলেছেন।
কবির মতে, বাঙালি মুসলিম যুবকদের বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর : বাঙালি মুসলিম যুবকেরা হাসিমুখে মৃত্যুকে বরণ করে স্বাধীনতার গান গায় ।
নজরুল ইসলামের রণভেরী' কবিতাটি প্রথম কবে প্রকাশিত হয়?
উত্তর : ‘সাধনা’ পত্রিকায় ১৩২৮ সালে প্রকাশিত হয় ।
রণভেরী কৰিতা কোন ছন্দে রচিত?
উত্তর : মাত্রাবৃত্ত ছন্দে ।
ভেরী অর্থ কী?
উত্তর : ভেরী অর্থ তূর্য নিনাদ ধ্বনি।
রণভেরী' কবিতার মূল বিষয় কী?
উত্তর : তুর্য নিনাদ ধ্বনি ঘােষণার বাণীই এ কবিতর মুখ্য বস্তু।
রণভেরী' কবিতার শিল্প মূল্য কী?
উত্তর : মুক্তিরণে অংশগ্রহণের উৎসাহসূচক বাণী ভঙ্গি এখানে যুদ্ধ ক্ষেত্রের প্রস্তুতিকে ধ্বনিময় শব্দ সৌকর্য্যে বীরত্বব্যঞ্জক শৈলী রচনা করেছেন।
আরো পড়ুন:
শাত-ইল-আরব কী?
উত্তর : ‘শাত-ইল-আরব’ আরবদেশের (ইরানের) একটি নদীর নাম।
শাত-ইল-আরব কবিতায় ব্যবহুত ফোরাত নদীর অপর নাম কি?
উত্তর : দজলা ।
শাত-ইল-আরবের বন্যায় কোন দেশ ধন্য হয়?
উত্তর : ইরাক দেশ ধন্য হয় ।
শাত-ইল-আরব কবিতা প্রথম কোথায় প্রকাশিত হয়?
উত্তর : মােসলেম ভারত পত্রিকায় ১৩২৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় ।
শাত-ইল-আরব পবিত্র নদী কেন?
উত্তর : শহীদের রক্ত ও দিলীরের (অসীম সাহসীর) খুনের জন্যেই শাত-ইল-আরব পবিত্র নদী।
মুক্ত আজাদ বেদুইন বলা হয়েছে কেন?
উত্তর : চিরস্বাধিীন মরুচারী আরব বেদুইন বাংলা সাহিত্যে মুক্ত জীবনের প্রতীক।
কার কোন চিত্রকে উপলক্ষ করে খেয়াপারের তরণী কবিতাটি রচিত?
উত্তর : ঢাকার নওয়াব আহসানুল্লার কন্যা নওয়াবজাদী মেহের বানুর আঁকা একটি চিত্রকে উপলক্ষ করে খেয়াপারের তরুণী কবিতাটি রচিত ।
‘খেয়াপারের তরুণী' কবিতায় রাত্রিতে কারা কী উদ্দেশ্যে এসেছে?
উত্তর : যাত্রীরা রাতে খেয়াপারের উদ্দেশ্যে এসেছে।
খেয়াপারের তরণী” কবিতায় শেষ পর্যন্ত কারা খেয়া পার হয়?
উত্তর : তরণীর যাত্রীরা।
‘খেয়াপারের তরণী' কবিতায় জান্নাত’ হতে রাশি রাশি ফুল ফেলে কারা?
উত্তর : জান্নাত হতে রাশি রাশি ফুল ফেলে হুরীরা।
‘খেয়াপারের তরণী' কবিতায় কারা ত্রাসে কাঁপছিল?
উত্তর : তরণীর যাত্রী যারা তারা ত্রাসে কাঁপছিল ।
বৃতা ত্রাসে প্রলয়ের সিন্ধুও দেয় ভার-
ঐ হল পূণ্যের যাত্রীরা খেয়া পার।” -কোন কবিতা হতে চয়নিত?
উত্তর : অগ্নিবীণা কাব্যের খেয়াপারের তরুণী” কবিতা হতে চয়নিত।
খেয়াপারের তরণীর পালে কী লেখা?
উত্তর : পালে লেখা শাফায়াত।
খোলারের তরণী কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত?
উত্তর : চার মাত্রার চালের মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
খেয়াপারের তরণী' কবিতায় কাণ্ডারী কে?
উত্তর : কাণ্ডারী আহমদকে বলা হয়েছে।
জুলফিকার কী?
উত্তর : মহাবীর হযরত আলী (রা) এর বিশ্বত্রাস তরবারি।
হাজেরা কে?
উত্তর : হযরত ইব্রাহিম (আ)-এর স্ত্রী। অর্থাৰ হযরত ইসমাইল (আ)-এর আম্মাজান ।
হযরত ইসমাইল (আ)- কে কোথায় কোরবানী করা হয়েছিল?
উত্তর : মদীনার ময়দানে ।
মূলত কোরবানীর উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : কোরবানী হচ্ছে মাল দিয়ে মুক্তির উত্তরণ।
কোরবানী” কবিতাটি প্রথম কোথায় প্রকাশ পায়?
উত্তর : মােসলেম ভারত' পত্রিকায় ১৩২৭ বঙ্গাব্দে প্রকাশ পায় ।
কোরবানী' কবিতায় কবির মূল উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : কবীর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- জনগণকে ত্যাগ ও বিসর্জনের আদর্শে উদ্বুদ্ধ করা।
সত্যাগ্রহ কি?
উত্তর : সততার প্রতি আগ্রহ বা ন্যায়ত ও ধৰ্মত যা সত্য অধিকার তা রক্ষা করার দৃঢ় সংকল্পই সত্যাগ্রহ।
কে, কখন সত্যাগ্রহ শুরু করেছিলেন?
উত্তর : ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ আফ্রিকায় মহাত্মা গান্ধী তাঁর অহিংস আন্দোলন ও সত্যাগ্রহ শুরু করেছিলেন অশ্বেতাঙ্গদের লাঞ্চনার প্রতিবাদে। ভারতবর্ষে শুরু করেছিলেন ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে রৌলোট আইনের বিরুদ্ধে চম্পারণ, গুজরাটে ।
'কোরবানী” কবিতার মূল প্রত্যয় কি?
উত্তর : কোরবানী কবিতা হযরত ইব্রাহিমের অমর ত্যাগের তাৎপর্য বর্ণনা মাত্র নয় বরং তা সমকালীন বিশ্বের একটি রুপক ও বটে ।
নজরুল ইসলামের মনে ধর্মের মূল শিক্ষা কি?
উত্তর : মানবতা, মানব কল্যাণ।
দুলদুল কী?
উত্তর : ইমাম হােসেনের ঘােড়ার নাম দুলদুল।
কাসিম কে?
উত্তর : ইমাম হাসানের পুত্র কাসিম, ইমাম হােসেনের জামাতা, সকিনার স্বামী।
সীমার কে?
উত্তর : এজিদের পক্ষের নেতা-হােসেনের হত্যাকারী।
মহররম’ কবিতা প্রথম কোথায় প্রকাশিত হয়?
উত্তর : মােসলেম ভারত' পত্রিকায় ১৩২৭ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয়।
মহররম’ কবিতার উপজীব্য বিষয় কী?
উত্তর : মহররম কবিতার উপজীব্য বিষয় হচ্ছে কারবালার বিষাদান্ত কাহিনী।
পানির জন্য কে গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদে?
উত্তর : ইমাম হােসেনের ছােট মেয়ে ফাতিমা তৃষ্ণায় পানির জন্য গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদে।
ফিরে এলাে আজি সেই মহররম মাহিনা
ত্যাগ চাই, মর্সিয়া ক্রন্দন চাহিনা।”—কোন কবিতা হতে উদ্ধৃত?
উত্তর : অগ্নিবীণা কাব্যের মহররম’ কবিতা হতে উদ্ধৃত।।
বানু কে? সে কেঁদে কী বলে?
উত্তর : ইমাম হােসেনের স্ত্রী বানু। সে আজগরের মা । সে তার শিশুপুত্র আজগরকে পানি দিতে না পারায় কান্নাকাটি করে।
হোসেন কারবালা প্রান্তরে কার হাতে কবে নিহত হন?
উত্তর : কারবালা প্রান্তরে হােসেন ১০ মহররম সীমারের হাতে নিহত হন।
মহররম মাস এলে কৰি কী চেয়েছেন?
উত্তর : কৰি কান্নাকাটি শােক প্রভৃতি ভুলে ত্যাগ চেয়েছেন-মর্সিয়া নয় ।
মহররম কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত?
উত্তর : চারমাত্রা চালের মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
“কাঁদে কোন ক্রন্দসী কারবালা ফোরাতে
সে কাঁদনে আঁসু আনে সীমারেরও ছেরাতে।” -এ কথার তাৎপর্য কী?
উত্তর : কারবালা রণাঙ্গনে বিধবাদের ক্রন্দনধ্বনির রেশ যেন আজও শ্রুত হয় আর ঘাতক সীমারের ছােরাতে হােসেনের শােকে অশ্রুর আভাস।
“মা ফাতিমা আসমানে কাদে খুলি কেশপাশ
বেটাদের লাশ নিয়ে বধূদের শ্বেত ৰাস।”-এখানে কী বলা হয়েছে।
উত্তর : কারবালায় সন্তানের মৃত্যুতে মায়ের এলােকেশে ক্রন্দন এবং স্বামীর মৃত্যুতে স্ত্রীর বৈধব্যের চিহ্ন সাদা বসনের চিত্র এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
'মহররম' কোন জাতীয় কবিতা?
উত্তর : মহররম’ বহুল প্রশংসিত শােক গাঁথামূলক কবিতা।