জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় | অনার্স প্রথম বর্ষ | বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যবহারিক বাংলা | অধ্যায় - ২

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় | অনার্স প্রথম বর্ষ | বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যবহারিক বাংলা | অধ্যায় - ২

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্সে যারা বাংলা বিভাগে অধ্যায়ন করছেন তাদের জন্য আমাদের এই ব্লগ সিরিজটি সাজানো হয়েছে । অনেকেই হয়ত অনার্সের বই গুলো অনলাইনে খুজে থাকেন কিন্তু অন্যসব ক্লাসের বই অনলাইনে থাকলেও অনার্সের বই সমূহ পাওযা যায়না। যার ফলে অনেকেই চাইলেও অনলাইনে বই পড়তে পারেনা। তাই আমরা চেষ্টা করছি বাংলা বিভাগের বই গুলো সকলের নিকট পৌছে দিতে, যাতে সবাই যেকোনো জায়গা থেকে বই পড়তে পারে। সকলের জন্য নিরন্তর শুভকামনা।





পোষ্ট সম্পর্কিত যেকোনো মতামত আমাদেরকে জানাতে Contact us পেইজটি ফলো করুন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরত্বপূর্ণ আপডেট নিয়মিত পেতে আমাদের সাইটটি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

আলোচিত পাঠ:
বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যবহারিক বাংলা
Bangla Vashar Itihash o Baboharik Bangla

অধ্যায় - ২

ব্যবহারিক বাংলা

✅ যুক্তাক্ষর গঠন

যুক্তাক্ষর কাকে বলে?
উত্তর :
দুটো বা ততােধিক ব্যঞ্জনবর্ণ একত্র করে লেখাকে যুক্তাক্ষর বলে। যেমন- ক + ত = ক্ত ।
ভাম্বার কয়টি রুপ?
উত্তর :
দুটি রূপ মৌখিক ও লৈখিক।
যুক্তাক্ষর ভাষার কোন ক্ষেত্রে প্রযােজ্য?
উত্তর :
ছন্দের ক্ষেত্রে।
যুক্তাক্ষর হওয়ার ফলে বর্ণের রূপের কি হয়?
উত্তর :
পরিবর্তন ঘটে : ণ + ড = ণ্ড, হ + ম = হ্ম।
কোন শব্দের আদিতে 'ব' ফলা থাকলে কী হয়?
উত্তর :
ৰ অনুচ্চারিত থাকে যেমন- স্বামী।
একই ব্যঞ্জন ছাড়াও অন্য কোন উপায়ে ধ্বনি দ্বিত্ব হয়?
উত্তর :
ব ফলাযুক্ত হয়ে। বিশ্ব (বিশ্ শো)
কোন শব্দের মধ্যে য-ফলা থাকলে কী হয়?
উত্তর :
ঐ বর্ণের দ্বিত্ব হয়। যেমন- উদ্যোগ (উদ্‌দোগ)।
বাংলাভাষায় যুক্তাক্ষরের সংখ্যা কয়টি?
উত্তর :
২৫০টি।
ব্যঞ্জন বর্ণগুলােকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর :
দু' ভাগে। যথা- ক. দ্বিত্ব ব্যঞ্জন খ. সাধারণ যুক্ত ব্যঞ্জন।
দ্বিত্ব ব্যঞ্জন কাকে বলে?
উত্তর :
কোনাে ব্যঞ্জন-এর সাথে পুনরায় ওই ব্যঞ্জন যুক্ত হলে।
শনাক্তকরণের সুবিধার জন্য সমস্ত ব্যঞ্জন বর্ণগুলােকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর :
পদ্ম, আম্মা।
ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপের নাম কী?
উত্তর :
ফলা।
কার’ কাকে বলে?
উত্তর :
স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে কার বলে।
আধুনিক ভাষাতাত্ত্বিক বিচারে বাংলা ভাষার মূল স্বরধ্বনি কয়টি?
উত্তর :
পাঁচটি।
গন্ধীর শব্দের বিশ্লেষণ রূপটি লেখ।
উত্তর :
গাম্ভীর্য ।
বিদেশি শব্দ বাংলায় লেখার ক্ষেত্রে নিচের কোনটি হয় না?
উত্তর :
শ, ষ, স।
ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে কী বলে?
উত্তর :
ফলা।
ফলা কাকে বলে?
উত্তর :
ব্যঞ্জনবর্ণ সংক্ষিপ্ত আকারে বা পূর্ণ আকারে অন্য ব্যঞ্জনের সাথে যুক্ত হলে তাকে বলা হয় ফলা।
বিদেশি শব্দ কী?
উত্তর :
এক ভাষা অন্য ভাষার শব্দ গ্রহণ করে নিজের মত করে ব্যবহার করলে সেই শব্দকে বিদেশী শব্দ বলে।
ধ্বনির সংজ্ঞা দাও।
উত্তর :
মুখ নিঃসৃত অর্থবােধক আওয়াজ হলাে ধ্বনি।
ধ্বনির সাংকেতিক রূপকে কী বলে?
উত্তর :
ধ্বনির সাংকেতিক রূপকে বর্ণ বলে।
বৃদ্ধ ও লক্ষ্মী শব্দে ব্যবহৃত বর্ণমালা বিশ্লেষণ কর।
উত্তর :
বৃদ্ধ = ব + ঋ + দ + ধ ,লক্ষ্মী = ল + ক + ষ + ম + ঈ।
হ+ন এর পরিবর্তিত রূপ কী?
উত্তর :
পরিবর্তিত রূপ হ্ন।
বাংলা বর্ণমালায় পূর্ণ মাত্রার বর্ণ কয়টি?
উত্তর :
৩২ টি।
বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণ কয়টি?
উত্তর :
মাত্রাহীন স্বরবর্ণ ৪ টি এবং মাত্রাহীন ব্যঞ্জরবর্ণ ৬ টি। বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণ ১০ টি।
বাংলা মৌলিক স্বরধ্বনি কয়টি?
উত্তর :
৮টি।
কোন বাংলা স্বরধ্বনি বর্ণমালায় নেই কিন্তু স্বরধ্বনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর :
‘অ্যা’ বাংলা স্বরধ্বনি বর্ণমালায় নেই কিন্তু স্বরধ্বনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
কয়টি যৌগিক স্বরধ্বনি বর্ণরূপ আছে?
উত্তর :
দুইটি। যথা : ঐ এবং ঔ।
ধ্বনি নির্দেশক প্রতীক বা চিহ্নকে কী বলে?
উত্তর :
বর্ণ।

✅ বাংলা বানান সমস্যা

ODEL গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর :
ODBL গ্রন্থের রচয়িতা ডঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়।
ODBL-এর পূর্ণরূপ লিখ।
উত্তর :
ODBL এর পূর্ণরূপ হলো- The Origin and Development of the Bengali Language.
বাংলা একাডেমি কত সালে বাংলা বানানের নিয়ম প্রবর্তন করেন?
উত্তর :
১৯৯২।
বাংলা বর্ণমালায় নেই, কিন্তু স্বরধ্বনি হিসেবে ব্যবহৃত হয় এরূপ স্বরচিহ্নটি কী?
উত্তর :
অ্যা'।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রবর্তিত বাংলা বানানের নিয়ম কতসালে প্রকাশিত হয়?
উত্তর :
১৯৩৬ সালে।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রণীত বাংলা ব্যাকরণের নাম কী?
উত্তর :
বাঙ্গালা ব্যাকরণ, ১৯৩৫ সালে প্রকাশিত।
বাংলা বানানে কোন কোন ক্ষেত্রে বিসর্গ ব্যবহৃত হয় না?
উত্তর :
প্রধানত শব্দের শেষে।
বাংলা ভাষার সকল লেখকবৃন্দ আমাদের গৌরব। বাক্যটি শুদ্ধ করে লেখ।
উত্তর :
বাংলা ভাষার লেখকবৃন্দ আমাদের গৌরব।
প্রমিত বাংলা বানান রীতি কী?
উত্তর :
যে বানান রীতি সর্বসাধারণের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম কখন প্রবর্তিত হয়?
উত্তর :
১৯৯২ সালে।
প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম কত সালে প্রকাশিত হয়?
উত্তর :
১৯৯৪ সালে।
সংখ্যা বা পরিমাণগত ব্যবধান বােঝাতে কোন বিরাম চিহ্ন ব্যবহৃত হয়?
উত্তর :
ড্যাশ।
ণ-ত্ব বিধান কী?
উত্তর :
যে নিয়ম অনুসারে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সংস্কৃত শব্দে দন্ত্য ‘ন মূর্ধন্য 'ণ'-তে রূপান্তরিত হয়।
ষ-ত্ব বিধান কী?
উত্তর :
যে নিয়ম অনুসারে বাংলা ভাষার ব্যবহৃত সংস্কৃত শব্দ 'ষ'-এর ব্যবহার হয়ে থাকে।
ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান কোথায় আলােচনা করা হয়?
উত্তর :
ধ্বনি তত্ত্বে আলােচনা করা হয়।
আষাঢ় শব্দে কোন নিয়মে ষ’ ব্যবহৃত হয়েছে।
উত্তর :
স্বভাবত নিয়মে।
ণ-ত্ব বিধানের ১টি নিয়ম লেখ।
উত্তর :
ঋ, র, ষ এর পরে 'ণ' হয়।
কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কার অনুরােধে বাংলা বানানের রীতি নির্ধারণ করে?
উত্তর :
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর অনুরােধে।
বিএনসিটিবি কর্মশালা করে বাংলা বানানাের নিয়ম করে কত সালে?
উত্তর :
১৯৮৮ সালে।
১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ বাংলা বানানের নিয়ম কাদের জন্য করেছে?
উত্তর :
প্রাথমিক শিক্ষার পর্যায়ে পাঠ্য পুস্তকে ব্যবহারের জন্য।
বাংলা বানান অনুযায়ী শব্দের শেষের বিসর্গ কী হবে?
উত্তর :
উঠে যাবে।
ফণীভুষণ শব্দের শুদ্ধ বানান কী?
উত্তর :
ফণীভূষণ।
বাংলাদেশের কোন প্রতিষ্ঠান প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম' নির্দিষ্ট করেছে?
উত্তর :
বাংলা একাডেমি।


✅ সন্ধি

স্বরসন্ধি কী?
উত্তর :
স্বরবর্ণের সাথে স্বরবর্ণের মিলনকে স্বরসন্ধি বলে।
ব্যঞ্জন সন্ধি কী?
উত্তর :
ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে স্বরবর্ণের বা ব্যঞ্জনবর্ণের মিলনকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলে।
ব্যঞ্জন সন্ধি কত প্রকার?
উত্তর :
তিন প্রকার ।
খাটি বাংলা সন্ধি কত প্রকার?
উত্তর :
দু প্রকার। যথা- ক. খাঁটি বাংলা স্বরসন্ধি খ. খাটি বাংলা ব্যঞ্জনসন্ধি ।
নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি কী?
উত্তর :
যে সন্ধি কোনাে নির্দিষ্ট নিয়মের অধীন নয়।
বধূৎসব' এর সন্ধি বিচ্ছেদ কী? 
উত্তর : বধূ +উৎসব = বধূৎসব।
‘ণিজন্ত কোন সন্ধি? এর সন্ধি বিচ্ছেদ কর।
উত্তর :
ব্যঞ্জন, নিচ্ + অন্ত = ণিজন্ত।
ব্যাকরণের কোন অংশে সন্ধি সম্পর্কে আলােচনা করা হয়?
উত্তর :
ধ্বনিতত্ত্বে।
ক্ষুধার্ত শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ কর।
উত্তর :
ক্ষুধা + ঋত = ক্ষুধার্ত।
সন্ধি বিচ্ছেদ কর- অহরহ।
উত্তর :
অহঃ + অহ = অহরহ।
মনীষা'-এর সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
উত্তর :
মনস্ + ঈষা = মনীষা ।
“অরণ্য' শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ দেখাও।
উত্তর :
অর+ অন্য = অরণ্য।

✅ বিরামচিহ্ন

প্রশ্ন চিহ্নের বিরতি কাল কত?
উত্তর :
১ সেকেন্ড।
হাইফেন চিহ্ন ব্যবহৃত হয়?
উত্তর :
দুটি শব্দের সংযােগ দেখাতে (-) চিহ্ন ব্যবহৃত হয়।
সমাসবদ্ধ পদে যােগ চিহ্ন হিসেবে কোন বিরতি চিহ্ন ব্যবহৃত হয়?
উত্তর :
সমাসবদ্ধ পদে যোেগ চিহ্ন হিসেবে হাইফেন ব্যবহৃত হয়।
দাড়ি বা পূর্ণচ্ছেদের সময়কাল কত?
উত্তর :
দাড়ি বা পূর্ণচ্ছেদের সময় কাল এক সেকেন্ড।
বাংলা ভাষায় দাড়ি ভিন্ন অন্যান্য বিরামচিহ্নের উদ্ভাবক কে?
উত্তর :
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
বাক্যের শেষে ব্যবহৃত দুটি বিরাম চিহ্ন লেখ।
উত্তর :
দাড়ি ও প্রশ্নবােধক চিহ্ন।
খাটি গরুর দুধ” কথাটির শুদ্ধরূপ লেখ।
উত্তর :
গরুর খাঁটি দুধ।
(:-) এর নাম কি?
উত্তর :
কোলন ড্যাস।
বাক্যে কমা (,) থাকলে কতক্ষণ থামতে হয়?
উত্তর :
এক বলতে যে সময় লাগে।
বাংলা ভাষায় দাড়ি ভিন্ন অন্য বিরাম চিহ্নগুলাে কোথা থেকে এসেছে?
উত্তর :
ইংরেজি ভাষা থেকে।
বাংলা ভাষায় মােট কতটি বিরামচিহ্নের প্রচলন আছে?
উত্তর :
১১টি।
কে বিরামচিহের প্রথম সার্থক প্রয়ােগ করেন।
উত্তর :
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
ভয়, বিস্ময়, ঘৃণা থাকলে বাক্যে কোন চিহ্ন বসে?
উত্তর :
বিস্ময় চিহ্ন।
(;) এই বিরামচিহ্নটির নাম কী?
উত্তর :
সেমিকোলন ।

✅ বাংলা ভাষার প্রয়ােগ ও অপপ্রয়ােগ

অপপ্রয়ােগ সংবাদ সম্মেলন’ এর যথার্থ ৰূপ কী?
উত্তর :
সাংবাদিক সম্মেলন।
প্রাণিবাচক তৎসম শব্দে কোন ই বা ঈ-কার বলো
উত্তর :
নারী, পক্ষী, হস্তী, ফণী, কুম্ভীর।
“অধীনস্থ” শব্দটির অপপ্রয়ােগজনিত ভুলের শুদ্ধরূপ লেখ।
উত্তর :
অধীন।

✅ পরিভাষা

পরিভাষা কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়?
উত্তর :
মূল ভাষায় প্রতিশব্দ না থাকলে যেমন- ‘পুলিশ'-এর কোন প্রতিশব্দ নেই।
পরিভাষা ভাষাকে কী করে?
উত্তর :
সরল করে। যেমন- টেলিফোন-এর প্রতিশব্দ ‘দূরালাপনী কিন্তু টেলিফোন সহজে গ্রহণযােগ্য।
পরিভাষা ও বিদেশি শব্দের মধ্যে কি লক্ষ্য করা যায়?
উত্তর :
এরা এক মনে হলেও এদের মধ্যে স্বতন্ত্র পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।
Lyric' শব্দটির পারিভাষিক অর্থ লেখ।
উত্তর :
“Lyric' শব্দটির পারিভাষিক অর্থ গীতিকবিতা।
Aesthetics এর বাংলা পরিভাষা কী?
উত্তর :
নন্দনতত্ত্ব বা সৌন্দর্যতত্ত্ব।
Resolution শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর :
প্রস্তাব বা সিদ্ধান্ত।
বাংলা ভাষায় কোন ভাষার শব্দ পারিভাষিক বলে বিবেচিত?
উত্তর :
ইংরেজি ভাষার শব্দ।




✅ সাধু ও চলিত ভাষারীতি

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর :
১৮০০ সালে।
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় কোন কারণে?
উত্তর :
মূলত ইংরেজ রাজকর্মচারীদের বাংলা শেখানাের জন্য ।
ভাষার মৌলিক রূপের কয়টি রীতি ও কি কি?
উত্তর :
দুইটি, (১) সাধু, (২) চলিত ।
সাধুভাষায় ব্যবহার বেশি-
উত্তর :
সর্বনাম, ক্রিয়াপদ ও তৎসম শব্দের ।
“লিখিতেছিলাম' এর চলিত রূপ কী?
উত্তর :
লিখছিলাম।
যদিও' শব্দের সাধুরূপ লেখ।
উত্তর :
যদ্যপিও।
কোন কোন ভাষার মিশ্রণকে গুরুচণ্ডালী’ দোষ বলা হয়?
উত্তর :
সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণকে।
চলিত ভাষা কী?
উত্তর :
যে ভাষায় অতৎসম ও অব্যয়ের প্রয়ােগ অধিক এবং আঞ্চলিক শব্দও ব্যবহৃত হয়।
যদ্যপিও” শব্দটির চলিত রূপ কী?
উত্তর :
যদ্যপিও শব্দটির চলিত রূপ যদিও।
সাধুরীতিতে কোন শব্দ বেশি ব্যবহৃত হয়?
উত্তর :
তৎসম শব্দ।
DIOM শব্দটির পারিভাষিক রূপ লিখ।
উত্তর :
বাগধারা।
কোন ভাষারীতি গুরুগম্ভীর?
উত্তর :
সাধুভাষারীতি।

✅ বাক্য প্রকরণ

ভাষার মূল উপকরণ কী?
উত্তর :
ধ্বনি।
কী না থাকলে বাক্য সফল হবে না?
উত্তর :
বাচ্যার্থ, লক্ষ্যার্থ বা ব্যঙ্গার্থ-এর যে কোন একটি।
বাংলা বাক্যে পদ সংস্থাপন রীতি- কোনটি?
উত্তর :
কর্তা + কর্ম + ক্রিয়া। (সাধারণত)
সম্বােধন পদ বাক্যের- কোথায় বসে?
উত্তর :
সব সময় প্রথমে বসে। যেমন- ওহে, এদিকে এস।
গঠনানুসারে বাক্য কত প্রকার?
উত্তর :
তিন প্রকার। যথা- (ক) সরল বাক্য, (খ) জটিল বাক্য বা মিশ্র বাক্য, (গ) যৌগিক বাক্য।
একটি বাক্যের কয়টি অংশ ও কী কী?
উত্তর :
দুটি- ক. উদ্দেশ্য খ. বিধেয়।
উদ্দেশ্য কত প্রকার?
উত্তর :
দুই প্রকার : (ক) সরল উদ্দেশ্য (খ) সম্প্রসারিত উদ্দেশ্য।
বাংলা ভাষার কয়টি উপভাষা ও কী কী?
উত্তর :
৫টি। যথা- রাঢ়ী, ঝাড়খণ্ডী, বরেন্দ্রী, বাঙালি, কামরূপী/রাজবংশী ।
“তাের নাম কী?” বাক্যটিকে অনুজ্ঞাবাচক বাক্যে রূপান্তর কর।
উত্তর :
তাের নাম বল'।
উদ্দেশ্য কী?
উত্তর :
বাক্যে যাকে কিছু বলা হয় তাই উদ্দেশ্য।
বিধেয় কী? 
উত্তর : উদ্দেশ্য সম্পর্কে যা বলা হয় তাকে বিধেয় বলে।
একটি যৌগিক বাক্য রচনা কর। 
উত্তর : সে গরিব কিন্তু সৎ।
সাপেক্ষ সর্বনামগুলাে কোন বাক্যে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর :
জটিল বাক্যে।
বৃষ্টি সত্ত্বেও সে স্কুলে এসেছে- এ সরল বাক্যের যৌগিক রূপ লেখ।
উত্তর :
বৃষ্টি হয়েছে কিন্তু সে স্কুলে এসেছে।
একটি যৌগিক বাক্য লিখ।
উত্তর :
সে সুন্দর কিন্তু বােবা ।
রাজু বল খেলে-এই বাক্যে কর্তা, কর্ম, ক্রিয়া চিহ্নিত কর।
উত্তর :
রাজু-কর্তা বল-কর্ম, খেলা-ক্রিয়া।
সাপেক্ষ সর্বনাম কোন বাক্যে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর :
জটিল ৰা মিশ্র বাক্যে ।
বাক্যে অসমাপিকা ক্রিয়া কোথায় বসে?
উত্তর :
সমাপিকা ক্রিয়ার পূর্বে।
Shirt এবং Class' এই শব্দ দুটি বাংলায় প্রতিবর্ণীকরণ কর।
উত্তর :
শার্ট ও ক্লাস।
সাপেক্ষ সর্বনাম কোন বাক্যে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর :
জটিল বা মিশ্র বাক্যে।
সরল বাক্য কাকে বলে?
উত্তর :
যে বাক্য একটি মাত্র কর্তা ও কর্ম থাকে তাকে সরল বাক্য বলে।
‘লােকটি দরিদ্র কিন্তু সৎ' এই বাক্যে কিন্তু কোন অব্যয়ের উদাহরণ?
উত্তর :
সমুচ্চয়ী অব্যয়।
তুমি যা চাও তাই কর। -এটি কোন ধরনের বাক্য?
উত্তর :
জটিল।
সংযােজক অব্যয় কোন ধরনের বাক্যে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর :
যৌগিক বাক্যে।
আরবি ‘সিন’ এর প্রতিবর্ণরূপ লেখ। অথবা, আরবি ‘সিন’ এর জন্য বাংলায় কোন বর্ণ ব্যবহৃত হয়?
উত্তর :
 স।
পদের প্রচলিত অর্থকে কি বলে?
উত্তর :
বাচ্যার্থ।

✅ প্রতিবর্ণীকরণ

প্রতিবর্ণীকরণ কী?
উত্তর :
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত ৮% শব্দ বিদেশি। বিদেশি শব্দকে বাংলা লিপিতে লেখাকে প্রতিবর্ণকরণ বলে ।
প্রতিবর্ণকরণের ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?
উত্তর :
Transliteration.
আরবি ফারসি শব্দে ছা, সিন, সােয়াদ-এর জন্য বাংলায় ব্যবহৃত হয়?
উত্তর :
স।
Allophone শব্দের বাংলা প্রতিবর্ণীকরণ কর।
উত্তর :
সহধ্বনি।
IPA বলতে কী বােঝায়?
উত্তর :
International Phonetic Alphabet.
ইংরেজি s বর্ণের বাংলা প্রতিরূপ কী?
উত্তর :
'স' বর্ণ।

✅ প্রতিবেদন রচনা

প্রতিবেদন কী?
উত্তর :
কোন সুনির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে প্রয়ােজনীয় খুঁটিনাটি অনুসন্ধানের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে যে বিবরণী প্রদান করা হয়, তাকে প্রতিবেদন বলে।
প্রতিবেদনের সাধারণত কয়টি অংশ থাকে এবং কি কি?
উত্তর :
তিনটি অংশ : (ক) প্রারম্ভিক অংশ; (খ) প্রধান অংশ; (গ) পরিশিষ্ট।
প্রতিবেদন শব্দের অর্থ কী?
উত্তর :
বিবরণী।
প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন প্রকল্প, শিল্পকারখানা ইত্যাদির সমস্যা সমাধানের জন্য গঠিত কমিটি প্রদত্ত প্রতিবেদনের নাম কি?
উত্তর :
বাণিজ্যিক প্রতিবেদন।
প্রতিবেদনের প্রধান অংশে কী থাকে?
উত্তর :
মূল প্রতিবেদন, উপসংহার ও সুপারিশ।
প্রতিবেদন কত ধরনের হতে পারে?
উত্তর :
১৪ ধরনের।

✅ সার সংক্ষেপণ

সারাংশ কী?
উত্তর :
কোন লেখার মূলকথাটি উপস্থাপন।
সারমর্ম কী?
উত্তর :
যে কোন পদ্যাংশের মূলভাবকে প্রকাশ করাই হলাে সারমর্ম।
সারাংশ ও সারমর্মের মধ্য পার্থক্য কী?
উত্তর :
একটি হলাে মূল কথা অপরটি হল মূলভাব ।
সারাংশ লেখার মূল উদ্দেশ্য কী? অথবা, সারাংশের উদ্দেশ্য কি?
উত্তর :
বাহুল্য বাদ দিয়ে মূল কথা রক্ষা করাই সারাংশ লেখার প্রকৃত উদ্দেশ্য।
সারাংশ লিখনে মূল অংশে প্রত্যক্ষ উক্তি থাকলে করণীয় কী?
উত্তর :
পরােক্ষ উক্তিতে পরিণতকরণ।

✅ কার্যবিবরণী লিখন

কার্যবিবরণী কী?
উত্তর :
কোন কাজের দাপ্তরিক বিবরণকে কার্যবিবরণী বলে।
কার্যবিবরণীর ধাপ কয়টি?
উত্তর :
দুইটি খসড়া ও মূল।
কার্যবিবরণী সাধারণত কী কী বিষয় সন্নিবেশিত হয়?
উত্তর :
ভূমিকা, আলােচ্যসূচি, সদস্যবৃন্দের উপস্থিতি স্বাক্ষর, পর্যালােচনা ও সিদ্ধান্তসমূহ।



Post a Comment (0)
Previous Post Next Post