জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় | অনার্স প্রথম বর্ষ | বাংলা উপন্যাস-১ | পর্ব - ২
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্সে যারা বাংলা বিভাগে অধ্যায়ন করছেন তাদের জন্য আমাদের এই ব্লগ সিরিজটি করা, যাতে খুব সহজে যে কেউ যেকোনো জায়গা থেকে বই পড়তে পারে। আমরা আশা করছি আপনারা নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন। বিভিন্ন সাজেশন বিশ্লেষণের মাধ্যমে চুড়ান্ত প্রশ্ন ব্যাংক এর সমন্বয় করে ব্লগ সিরিজটি সাজিয়েছি। তাছাড়া এমন অনেকেই আছে যারা নিয়মিত ক্লাস করতে পারেনা। পরীক্ষার সময় হতাশ হয়ে পড়ে। তাদের জন্য আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াসটি সার্থক হতে পারে। তবে ভালো ফলাফলের জন্য অবশ্যই বেশি বেশি পড়তে হবে। এর জন্য সিলেবাস অনুযায়ী অন্যান্য সহায়ক গ্রন্থ গুলো সংগ্রহ করে পড়তে পারেন।পোষ্ট সম্পর্কিত যেকোনো মতামত আমাদেরকে জানাতে Contact us পেইজটি ফলো করুন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরত্বপূর্ণ আপডেট নিয়মিত পেতে আমাদের সাইটটি ভিজিট করুন।
আলোচিত পাঠ:
বাংলা উপন্যাস-১
Bangla Uponnas-1অধিকারী কে?
উত্তর : পঞ্চাশাের্ধ বয়সের রাঢ়ীয় শ্রেণির ব্রাহ্মণ, যে কালীর সেবক।
অধিকারী নবকুমারের কাছে কী প্রস্তাব দিল?
উত্তর : তিনি কপালকুণ্ডলার সাথে নবকুমারের বিবাহের প্রস্তাব দিল।
অধিকারী নবকুমারের কী কী পরিচয় পেল?
উত্তর : নবকুমার শর্মা, রাঢ়ীয় শ্রেণির, গ্রাম : সপ্তগ্রাম, ৰন্দ্যঘটী ও এক সংসার মাত্র।
অধিকারী ও কপালকুন্ডলা তাদের মনবাসনা সফল হবে কী না তা কীভাবে পরীক্ষা করত?
উত্তর : কালীমূর্তির পায়ে বিল্বপত্র স্থাপন করে। পত্র পড়ে গেলে দুর্ভাগ্য থাকলেও সফল।
আধিকারী প্রদত্ত অর্থ দিয়ে নবকুমার কী ব্যবস্থা করল?
উত্তর : কপালকুন্ডলার জন্য মেদিনীপুরে এসে একজন দাসী, একজন রক্ষক ও শিবিকাবাহক নিযুক্ত করিয়া তাকে শিবিকারােহণে পাঠালেন।
আধকারী নবকুমার ও কপালকুণ্ডলা কত দূর পর্যন্ত রেখে এসেছিলেন?
উত্তর : অধিকারী নবকুমার ও কপালকুণ্ডলাকে মেদেনীপুর পর্যন্ত রেখে এসেছিল।
কাপালিকের সঙ্গে যেতে যেতে কী দেখল নবকুমার?
উত্তর : সেই রমনি মূর্তি। নকুমারকে বলল “কোথা যাইতেছ? যাইও না। ফিরিয়া যাও-পলায়ন কর।”
কাপালিক নবকুমারকে প্রথম কী প্রশ্ন করেছিল?
উত্তর : কস্তং! অর্থাৎ তুমি কোন জাতের?
কালালিক নবকুমারের সঙ্গে প্রথমে কোন ভাষায় কথা বলেছিল?
উত্তর : সংস্কৃত ।
কাপালিক নবকুমারকে বেঁধে রাখলে কে তাকে বাঁচায়?
উত্তর : কপালকুণ্ডলা এসে বধ করার খড়গ চুরি করে রাখে, পরে নবকুমারের বাঁধন খুললে তাকে বাঁচায়।
আমার সঙ্গে আগমন কর - কে কাকে বলেছিল?
উত্তর : কাপালিক নবকুমারকে বলেছে ।
কাপালিক কেন নবকুমারের সাহায্য চায়?
উত্তর : কারণ বালিয়াড়ির পার থেকে পড়ে তার দুই হাত ভেঙে গিয়েছিল ।
কাপালিকের গৃহটি কীসের দ্বারা নির্মিত?
উত্তর : কেয়াপাতায় নির্মিত ।
“যে পর্যন্ত সাক্ষাৎ না হয়, সে পর্যন্ত এ কুটির ত্যাগ করিও না।” -কার উক্তি
উত্তর : কাপালিক নবকুমারকে বলেছিল।
কাপালিক বাণীর পূজা বন্ধ করেছে কেন?
উত্তর : স্বপ্নে ভবানী কাপালিককে বলে দিয়েছে যে, কপালকুণ্ডলাকে ভবানীর পায়ে বিসর্জন না দিলে ভবানী কাপালিকের পূজা গ্রহণ করবে না। তাই কাপালিক পূজা করে না।
কাপালিকের বয়স কত ছিল?
উত্তর : ৫০ বছরের বেশি।
পদ্মাবতীর পাল্কি কীভাবে বিধ্বস্ত হয়েছিল?
উত্তর : দস্যুদ্বারা এবং একজন বাহক মারা যায় ও সে আহত হয়।
পদ্মাবতীর আরেক নাম কী? অথবা, পাবতীর নাম কী?
উত্তর : মতিবিবি।
পদ্মাবতী কপালকুণ্ডলার কাছে কী প্রার্থনা করে?
উত্তর : পদ্মাবতী প্রার্থনা স্বামী ত্যাগ করে কপালকুণ্ডলা যেন পদ্মাবতীর প্রাণ দান করে।
পদ্মাবতীর বাবার নাম কী?
উত্তর : রামগােবিন্দ ঘােষাল।
“আকাশে চন্দ্র সূর্য থাকতে ভাল অধোম কেন?” —উক্তিটি কার?
উত্তর : পদ্মাবতীর।
জন্মে তােমার আশা ছাড়িব না” কে কাকে বলেছিল।
উত্তর : পদ্মাবতী নবকুমারকে বলেছিল।
বাঙালিরা আপন গৃহিণীকে সর্বাপেক্ষা সুন্দরী দেখে” -উক্তিটি কার?
উত্তর : উক্তিটি পদ্মাবতীর।
ইনি সর্বাঙ্গ সুন্দরী নহেন’-এখানে কার কথা বলা হয়েছে।
উত্তর : পদ্মাবতীর কথা।
আরো পড়ুন:
মতিৰিবির মুসলিম নাম কী?
উত্তর : লুৎফ-উন্নিসা, মতিবিবি ছদ্মনাম বাইরে বেরােলে এ নাম ধারণ করেন।
‘দেখেছি, এমন উত্তরে মতিবিৰি কী বলিল?
উত্তর : মতিবিৰি বলিল, সেটি কী আপনার স্ত্রী।
প্রদীপ নিৰিয়া গেল’-কেন?
উত্তর : চটিতে নবকুমারকে পদ্মাবতী চিনতে পারে এবং পদ্মাবতীর ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়া লুকানাের জন্য ঔপন্যাসিক এ সংকেতের অবতারণা করেন ।
রূপ দেখিয়া মতিৰিৰি কী বলিল?
উত্তর : সত্যি এ ফুল রাজোদ্যানেও ফুটে না ।
মতিৰিবি কে?
উত্তর : নবকুমারের প্রথম স্ত্রীর ছদ্মনাম ।
এ জন্মে তােমার আশা ছাড়িব না- কে কার সম্পর্কে এ কথা বলেছে?
উত্তর : মতিবিবি নবকুমারকে।
মতিবিবির আসল নাম কী? অথবা, মতিবিবির অন্য নামগুলাে কী কী?
উত্তর : পদ্মাবতী ও লুৎফউন্নিসা।
পেষমন কে?
উত্তর : পেষমন লুৎফ-উন্নিসার দাসী।
শ্যাম সুন্দরী কে? কপালকুণ্ডলাকে সে কী বলে ডাকত?
উত্তর : কপালকুণ্ডলার ননদ, কপালকুণ্ডলাকে সে আদর করে, কখনও বউ, বন, কখনও মৃণাে সম্বােধন করিতেছিল।
পুরুষের বাতাসে যােগিনীও গৃহিণী হইয়া যায়” -উক্তিটি কার?
উত্তর : শ্যামাসুন্দরী।
শ্যামার মতে পরশ পাথর কী?
উত্তর : পুরুষ ।
শ্যামা কপালকুণ্ডলার সুখ কী জানতে চাইলে সে কী বলে?
উত্তর : “বলিতে পারি না। বােধ করি, সমুদ্রতীরে সেই বনে বনে বেড়াইতে পারিলে আমার সুখ জন্মে।”
শ্যামা, স্বামী বশ করার গাছ কপালকুণ্ডলাকে রাতে তুলতে বলল কেন?
উত্তর : দিনে তুললে কাজ হয় না। দুই প্রহর রাত্রে এলােচুলে তুলিতে হয়।
লুৎফ-উন্নিসা বাদশাহের কাছে কীসের অনুমতি চাহিলেন?
উত্তর : তার প্রথম স্বামীকে সে বিবাহ করিবে।
লুৎফ-উন্নিসা, পেষমনকে কী বলল?
উত্তর : আমি এত ঐশ্বর্য, ধন, সম্পদ ভােগ করিয়াছি কিন্তু একদিনের জন্যও সুখ ভােগ করিয়াছি বলে মনে পড়ে না।
লুৎফ-উন্নিসা সপ্তগ্রামে অট্টলিকা কীনে কী করল?
উত্তর : সেখানে নবকুমারকে এনে প্রণয় ভিক্ষা চাইল।
লুৎফ-উন্নিসার সাথে কার দেখা হয়?
উত্তর : কাপালিকের।
ব্রাক্ষ্মণবেশী কে ছিল? সে কী বলিলা?
উত্তর : লুৎফ-উন্নিসা। “তুমি রাত্রে এ নিবিড় বনমধ্যে কী জন্য আসিয়াছ”।
লুৎফ-উন্নিসা যুবরাজ সেলিমের প্রাসাদে কী হিসেবে ছিল?
উত্তর : যুবরাজ সেলিমের প্রধান মহিষীর প্রধান সহচরী হিসেবে।
সেলিমের পাটরাণী হওয়ার যে সাধ লুৎফউন্নিসার তাতে বাদ সাধে কে?
উত্তর : মেহের-উন্নিসা।
লুৎফ-উন্নিসা (মতিৰিবি) উড়িষ্যা যাচ্ছিল কেন?
উত্তর : সেলিমের বদলে তার পুত্র খস্রুকে সিংহাসনে বসানাের ষড়যন্ত্র বিফল হলে তাদের একমাত্র আশ্রয় উড়িষ্যা। লুৎফউন্নিসার ভাই তার ভাই এর সাথে পরামর্শের জন্য উড়িষ্যায় যায়।
লুৎফ উন্নিসা উড়িষ্যার দলে কোথায় যায় এবং কেন?
উত্তর : চক্রান্ত ব্যর্থ জেনে লুৎফ-উন্নিসা উড়িষ্যা না গিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী মেহের-উন্নিসার স্বামী ভক্তি পরখ করতে বর্ধনের যায় ।
মেহেরউন্নিসা কে?
উত্তর : সেলিমের প্রণয়িনী এবং আকবর শাহের কোষাধ্যক্ষ খাজা আয়াসের কন্যা মেহের উন্নিসা।